বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারীর
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার সচিব অভিজিৎ সোমের কাছে তার ইস্তফা পত্র জমা দেন।কিন্তু বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান সচিবের ইস্তফা পত্র গ্রহণ করার অধিকার নেই।
বেশ কয়েক মাস ধরে শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বড় তর্জা সৃষ্টি হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং মানুষজন বুঝে উঠতে পারছিল না শুভেন্দু অধিকারী কি করতে চলেছেন। প্রথমে তিনি বিভিন্ন সরকারি কমিটির পদত্যাগ করেন, তার কয়েকদিন পরে মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেন এরপরে বেশ কিছুদিন কেটে গেল অবশেষে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে তৃণমূলে কয়েক মাস আগে বোঝাপড়া সমস্যা হয়েছিল। যদিও তাকে নিয়ে দুবার আলোচনায় বসা হয় কিন্তু তাতে কোনো সুরাহা মিলেনি, এরপর তিনি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। বিভিন্ন মিটিংয়ে তার ক্ষোভ দলের উদ্দেশ্যে উগরে দেন। তিনি এও বলেন “অনেকে বলেছিলেন যে আমার পদ দেখে আমার কাছে মানুষজন ছুটে আসে তাই আমি আমার পদগুলো ত্যাগ করেও জনসমাগম করে দেখিয়ে দিলাম যে তাদের ধারণা ভুল।তাদের সঙ্গে আমার আত্মার সম্পর্ক তাই তারা আমার কাছে ছুটে আছে”।
অনেকে মনে করছেন আগামী শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বাংলাতে আসছে তারই হাত ধরে হয়তো তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। যদিও তৃণমূলের দল থেকে তাকে এখনো বহিষ্কার করা হয় নি। এখন দেখার তিনি আগামী কয়েকদিনে কি সিদ্ধান্ত নেন।