দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব সহ একগুচ্ছ ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেন জানুয়ারিতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডি এ সহ একাধিক ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
করোনা পরিস্থিতির জন্য গত মার্চ মাস থেকে স্কুল বন্ধ, এই পরিস্থিতিতে পড়াশোনার একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠে অনলাইন ক্লাস। এই অনলাইন ক্লাসের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের ও স্মার্টফোনের প্রয়োজন কিন্তু রাজ্যের বেশিরভাগ ছাত্র দের স্মার্ট ফোন নেই, আর্থিক কারণে অনেকের এগুলি কেনার সামর্থ নেই। এই পর্যাপ্ত সরঞ্জাম এর অভাবে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় বঞ্চিত হতে হচ্ছে।
তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব দেওয়ার ঘোষণা করলেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন পরীক্ষাকে এখনো পাঁচ থেকে ছয় মাস বাকি আছে,তার এখনও কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায় নি। এই ট্যাবের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা যতদূর সম্ভব নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারবে।
প্রাথমিক পর্বে কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সাড়ে ৯ লক্ষ ট্যাব বিনামূল্যে দেয়া হবে। পরে অন্যান্য পড়ুয়াদের জন্য ট্যাব দেওয়ার চিন্তাভাবনা মধ্যে রয়েছে সরকারের। সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, মাদ্রাসায় স্কুলের পড়ুয়ারা এই ট্যাব পাবে।
রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল ও মাদ্রাসা স্কুল গুলিকে একটি করে কম্পিউটার দেয়ার কথা ঘোষণা করছেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন শিক্ষার্থীদের সমস্ত অফিসিয়াল কাজকর্ম এখন অনলাইনে ই-পোর্টালের মাধ্যমে করা হয়। পড়ুয়াদের ভর্তি, পার্বিক মূল্যায়ন, তাদের পরিচয় পত্র, মার্কশিট ইত্যাদি সমস্ত কাজকর্ম অনলাইনের মাধ্যমে হয়। এগুলি পরিচালনা করতে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হত এখন এই কম্পিউটার দেওয়াতে এইসব কাজকর্মের সুবিধা হবে। রাজ্যের প্রায় ১৪০০০ হাজার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল এবং ৬৩৬ টি মাদ্রাসা রয়েছে।
একই মাসে সরকারি কর্মচারীদের ও ৩ শতাংশ ডি এ এর ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ডি এ পে-কমিশন চালু হয়েছিল, সেখানে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছিল তাই আজকের বৈঠকে ৩ শতাংশ ডি এ ঘোষনাতে কর্মচারীরা খুশি হবেন। এই ডি এ কার্যকরী হবে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস থেকে।
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন “কোভিড পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের সুবিধা দিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মচারীরা ভালো আছেন”। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন “কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।রেলের অফিসারদের ভবিষ্যৎ নেই। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের স্বাধীনতা দেওয়া হয় না। এই আর্থিক অনটনের মধ্যেও ১০ কোটি মানুষকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে নিয়ে আসা হয়েছে। কোভিড এবং আমফানের বিপর্যয় সরকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে কিন্তু কেন্দ্রের তরফে পর্যাপ্ত আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের কাছে ৮৫ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে , মিলছে শুধু বঞ্চনা“।